ঢাকা , শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫ , ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাউখালীতে নূরানী মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী বাড়ছে


আপডেট সময় : ২০২৫-০৫-০৯ ১৪:১২:৫১
কাউখালীতে নূরানী মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী বাড়ছে কাউখালীতে নূরানী মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী বাড়ছে
 

 

কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি। পিরোজপুরের কাউখালীতে দিন দিন নূরানী মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে। অপরদিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘোরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা বলছে শিক্ষার্থীরা বর্তমানে মাদ্রাসা শিক্ষায় ঝুঁকে পড়ছে। এ কারণে আগের তুলনায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক কমে গেছে। বিভিন্ন এলাকার অভিভাবকরা সন্তানদের ইসলাম শিক্ষা দিয়ে পরবর্তী সময় বিদ্যালয়ের ভর্তি করাচ্ছেন।

 
জানা গেছে, অত্র উপজেলায় প্রায় অর্ধশত নূরানী মাদ্রাসাসহ হাফিজি, কওমি, নূরানী হেফজখানা রয়েছে রয়েছে। এগুলো নিজস্ব তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়ে আসছে। উপজেলার বিভিন্ন বাসা বাড়ি কিংবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ভাড়া নিয়ে এসব প্রতিষ্ঠান চলছে।এ সকল প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা নিজেরা টাকা দিয়ে পড়াশোনা করছেন।


নূরানী মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীর অভিভাবক তাইজুল ইসলাম ও নাসরিন বেগম  বলেন, সন্তান মাদ্রাসায় দিয়েছি। বাংলা, ইংরেজি, অংক, আরবি, সাধারণ জ্ঞান ভালোভাবে জানবে তারপর আমরা প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছেলেমেয়েদের ভর্তি করিয়ে দিব।


অভিভাবকরা বলেন নূরানী মাদ্রাসার শিক্ষকরা নিয়মিত বাচ্চাদের পাঠদান করেন ও বাড়িতে গিয়ে খোঁজ খবর রাখেন। উপজেলার উজিয়াল খান নূরানী তালিমুল কোরআন মাদ্রাসায় পেল্লে থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে, নাঙ্গুলী নূরানী মাদ্রাসায় প্রায় ১৫০জন শিক্ষার্থী রয়েছে, কাউখালী সদরে অবস্থিত আশরাফুল উলুম মাদ্রাসা প্রধান শিক্ষক মাওলানা মোঃ মহিবুল্লাহ বলেন, তার মাদ্রাসায় পেলে থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষকের সংখ্যা ৭ জন।


অত্র মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক বলেন, আমরা ছাত্রছাত্রীদের যথাযথভাবে শিক্ষা দিয়ে থাকি, আমাদের শিক্ষকরা ক্লাসে যেভাবে পাঠদান করেন তাতে কোন শিক্ষার্থীদের আলাদাভাবে প্রাইভেট পড়ার কোন দরকার হয় না। আমরা মাঝে মাঝে ছাত্রছাত্রীদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নেই এবং মাঝে মাঝে অভিভাবকদের অবগত করি। তাছাড়া যেসব মহিলা অভিভাবক তাদের সন্তানদের প্রতিষ্ঠান নিয়ে আসে তাদের জন্য আমরা আলাদা মহিলা শিক্ষক দ্বারা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে কোরআন শরীফ শিখার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।


এদিকে, কাউখালী উপজেলার সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নের  ৬ নং জব্দকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা মাত্র ৭ জন। অথচ প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকরা সরকারিভাবে বেতন ভাতা সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে অন্যদিকে নূরানী শিক্ষার্থীরা টাকার বিনিময়ে ক্লাসে লেখাপড়া করেন।


শিক্ষক নেতা হাবিবুল্লাহ ফকির বলেন, আমরা বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী বাড়াবার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি। করোনা সময় স্কুল বন্ধ থাকার কারণে অনেক অভিভাবক তখন তাদের ছেলেমেয়েদের নূরানী মাদ্রাসায় ভর্তি করেছেন এখন তারা ওখান থেকে আর ফেরত আনছে না।


উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মুনিবুর রহমান বলেন, করোনা কালীন সময়ে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ছিল ও নূরানী মাদ্রাসা খোলা ছিল তখন অভিভাবকরা তাদের ছেলেমেয়েদের নূরানী মাদ্রাসায় ভর্তি করেছে। এবং ধর্মীয় একটা ব্যাপার আছে। অধিকাংশ অভিভাবকদের ইচ্ছে তাদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষার উপর গুরুত্ব দেন।
 


 


নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ